গত মাসে লাওসের প্রধানমন্ত্রী সোনেক্সে সিফানডোনের সঙ্গে ভূক্তভোগীদের উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলেন জয়শঙ্কর।
ভারতীয় নাগরিকদের লক্ষ্য করে কর্মসংস্থান কেলেঙ্কারির ক্রমবর্ধমান ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় , বিদেশ মন্ত্রক (পররাষ্ট্র দপ্তর) চাকরির সুযোগের জন্য লাওস এবং কম্বোডিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করল। প্রতারণামূলক চাকরির অফারগুলির সঙ্গে অনেক ঝুঁকি থাকে। তাই ভারতীয়দের সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
পরামর্শক ভারতীয় নাগরিকদের কম্বোডিয়া এবং বৃহত্তর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে কর্মরত অসংখ্য ভুয়ো এজেন্টের উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। এই এজেন্টরা, প্রায়শই ভারতের প্রতিপক্ষের সাথে সহযোগিতায়, ব্যক্তিদের প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়ো কোম্পানিতে নিয়োগ করে, যারা কিনা প্রাথমিকভাবে সাইবার অপরাধের সাথে জড়িত। এই ধরনের চক্রান্তের শিকার হওয়া এড়াতে, পররাষ্ট্র দপ্তর দৃঢ়ভাবে চাকরিপ্রার্থীদের শুধুমাত্র মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত এজেন্টদের মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভারতীয় নাগরিকদের থাইল্যান্ড কিংবা লাওসে চাকরির অফার দিয়ে প্রতারিত করা হচ্ছে। এই জাল চাকরির মধ্যে সাধারণত ‘ডিজিটাল সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভস’ বা ‘কাস্টমার সাপোর্ট সার্ভিস’-এর মতো পদ রয়েছে। বিশেষত লাওসের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কল-সেন্টার স্ক্যাম এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতিতে জড়িত সন্দেহজনক কোম্পানিগুলি এমন চাকরির অফার করে।
দুবাই, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর এবং ভারতের মতো জায়গা থেকে কাজ করা এজেন্টরা সহজ ইন্টারভিউ এবং টাইপিং পরীক্ষা, আকর্ষণীয় বেতন, হোটেল বুকিং, রিটার্ন এয়ার টিকেট এবং ভিসা সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে প্রার্থীদের নিয়োগ করে। চাকরিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের অবৈধভাবে থাইল্যান্ড থেকে সীমান্ত পেরিয়ে লাওসে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বন্দী করা হয়। অপরাধী সিন্ডিকেটের দ্বারা ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়ে তারা প্রায়ই চাপের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, থাইল্যান্ড বা লাওসে আগমনের ভিসা কর্মসংস্থানের অনুমতি দেয় না। এই ধরনের ভিসায় যারা, দেশে প্রবেশ করে লাওস কর্তৃপক্ষ এই সব ভারতীয় নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট দেয় না। কারণ ওই ভিসা পাসপোর্ট পর্যটনের উদ্দেশ্যে। উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেছেন যে, লাওসে মানব পাচারের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ১৮ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তাই ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর প্রলোভনসঙ্কুল অথচ প্রতারণামূলক এবং শোষণমূলক চাকরির প্রস্তাবের শিকার না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক