ভারত ও অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একত্রে কাজ করতে এবং নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে এককাট্টা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর, ২০২৪) ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ভারত-অস্ট্রেলিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে ভারত-অস্ট্রেলিয়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি অংশীদারিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে দুই প্রধানমন্ত্রী জানান, এই অংশীদারিত্ব সৌর ফোটোভোলটাইক, সবুজ হাইড্রোজেন, জ্বালানি সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং এই খাতের ভবিষ্যৎ কর্মীদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতার কাঠামো প্রদান করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যৌথ উচ্চাশা
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত অগ্রসর হওয়া, একত্রে কাজ করা এবং তাদের পরিপূরক সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে অভিন্ন উচ্চাশা ভাগ করে।
অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি
বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে দুই প্রধানমন্ত্রী ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং ঐতিহাসিক ভারত-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তি এর মাধ্যমে বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা একটি উচ্চাভিলাষী, ভারসাম্যপূর্ণ এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আলবানিজের সঙ্গে দেখা করা সবসময়ই আনন্দের। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতপ্রজন্মের জন্য উন্নয়ন এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী খাতগুলিতে মনোযোগ দিতে থাকব।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একটি পোস্টে লিখেন, “আমাদের অস্ট্রেলিয়া-ভারত নবায়নযোগ্য জ্বালানি অংশীদারিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। এই অংশীদারিত্ব সৌরশক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন এবং নবায়নযোগ্য খাতের কর্মীদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াবে। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করছি।”
প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং মহাকাশে সহযোগিতা
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের অংশীদারিত্বে অব্যাহত অগ্রগতি স্বাগত জানানো হয়েছে। ২০২৫ সালে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার যৌথ ঘোষণাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, এই সহযোগিতা দুই দেশের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে, আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে এবং উভয়ের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে। মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে গগনযান মিশনে সমর্থন, ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার স্যাটেলাইট ভারতের রকেটে উৎক্ষেপণ এবং দুই দেশের মহাকাশ শিল্পের মধ্যে যৌথ প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়।
আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা
প্রধানমন্ত্রীরা একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা জাতিসংঘ সাগর আইন কনভেনশন -এর ভিত্তিতে সমুদ্র ও আকাশপথে স্বাধীন চলাচলের অধিকারের প্রতি জোর দেন।
তারা ক্বাডের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে এবং এই অঞ্চলের জন্য একটি মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আসিয়ান কেন্দ্রিকতার প্রতি তাদের অঙ্গীকার এবং আসিয়ান আউটলুক অন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
এক যৌথ বিবৃতিতে দুই প্রধানমন্ত্রী জানান, এই অংশীদারিত্ব সৌর ফোটোভোলটাইক, সবুজ হাইড্রোজেন, জ্বালানি সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং এই খাতের ভবিষ্যৎ কর্মীদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতার কাঠামো প্রদান করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যৌথ উচ্চাশা
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত অগ্রসর হওয়া, একত্রে কাজ করা এবং তাদের পরিপূরক সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে অভিন্ন উচ্চাশা ভাগ করে।
অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি
বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে দুই প্রধানমন্ত্রী ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং ঐতিহাসিক ভারত-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তি এর মাধ্যমে বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা একটি উচ্চাভিলাষী, ভারসাম্যপূর্ণ এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আলবানিজের সঙ্গে দেখা করা সবসময়ই আনন্দের। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতপ্রজন্মের জন্য উন্নয়ন এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী খাতগুলিতে মনোযোগ দিতে থাকব।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একটি পোস্টে লিখেন, “আমাদের অস্ট্রেলিয়া-ভারত নবায়নযোগ্য জ্বালানি অংশীদারিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। এই অংশীদারিত্ব সৌরশক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন এবং নবায়নযোগ্য খাতের কর্মীদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াবে। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করছি।”
প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং মহাকাশে সহযোগিতা
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের অংশীদারিত্বে অব্যাহত অগ্রগতি স্বাগত জানানো হয়েছে। ২০২৫ সালে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার যৌথ ঘোষণাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, এই সহযোগিতা দুই দেশের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে, আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে এবং উভয়ের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে। মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে গগনযান মিশনে সমর্থন, ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার স্যাটেলাইট ভারতের রকেটে উৎক্ষেপণ এবং দুই দেশের মহাকাশ শিল্পের মধ্যে যৌথ প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়।
আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা
প্রধানমন্ত্রীরা একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা জাতিসংঘ সাগর আইন কনভেনশন -এর ভিত্তিতে সমুদ্র ও আকাশপথে স্বাধীন চলাচলের অধিকারের প্রতি জোর দেন।
তারা ক্বাডের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে এবং এই অঞ্চলের জন্য একটি মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আসিয়ান কেন্দ্রিকতার প্রতি তাদের অঙ্গীকার এবং আসিয়ান আউটলুক অন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক