এই কর্মসূচিতে মালদ্বীপের ৩৪ জন সরকারি কর্মচারী অংশগ্রহণ করছেন, যাঁরা মালদ্বীপ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।
মালদ্বীপের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩৩তম দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি (সিবিপি) সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ভারতের মুসৌরির ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্স (এনসিজিজি) এ শুরু হয়েছে। আগস্ট ২০২৪-এ স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মাধ্যমে এনসিজিজি এবং মালদ্বীপের সিভিল সার্ভিস কমিশনের (সিএসসি) মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের সহযোগিতার সূচনা এই কর্মসূচির মাধ্যমে হলো।
৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলমান এই দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে মালদ্বীপের ৩৪ জন সরকারি কর্মচারী অংশগ্রহণ করছেন, যাঁরা মালদ্বীপ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এই সিবিপি নতুন এমওইউ-এর অধীনে প্রথম কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ২০২৪-২০২৯ সালের মধ্যে মালদ্বীপের ১,০০০ জন সরকারি কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জামির এই এমওইউ স্বাক্ষর করেন, যা ভারতের সমুদ্র প্রতিবেশী মালদ্বীপের প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নতিতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
মালদ্বীপের প্রতিনিধিদলে বিভিন্ন সরকারি পদের কর্মকর্তা যেমন সহকারী পরিচালক, সিনিয়র প্রশাসক, কাউন্সিল কর্মকর্তা, প্রফেসর এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁদের প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানো, আলোচনা এবং জ্ঞান বিনিময় করা হবে, যা ভারত ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।
এনসিজিজির মহাপরিচালক ও ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন অভিযোগ বিভাগের (ডিএআরপিজি) সচিব ভি শ্রীনিবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি মালদ্বীপের অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের দক্ষতা বৃদ্ধি উদ্যোগের সাফল্যের প্রশংসা করেন, যেখানে ১,০০০ জনেরও বেশি মালদ্বীপের সরকারি কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ভারতের ‘আমৃত কাল’ বা ‘ভিশন ২০৪৭’ এর অধীনে প্রশাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন মালদ্বীপের সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সুযোগ তৈরি করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক